১। সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ (পুরুষ ও মহিলা)
ক. একজন আনসার হিসেবে অঙ্গীভূতির যোগ্যতা অর্জনপূর্বক তাঁর উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পালনে যোগ্য ও আত্মবিশ্বাসী করে
তোলা।
খ. উপজেলা পর্যায়ে গঠিত আনসার কোম্পানী ও ইউনিয়ন আনসার প্লাটুনের শূন্য পদে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা।
গ. বাহিনীর কর্মকান্ড, অর্গানোগ্রাম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত Áান প্রদান।
ঘ. জননিরাপত্তা, কেপিআই নিরাপত্তা, অস্ত্র চালনা, পিটি, ড্রিল ও ফায়ার ফাইটিং বিষয়ে দক্ষ করে তোলা।
প্রশিক্ষণের নিয়মাবলী নিম্নরুপঃ
* জেলা সদরে প্রাথমিক পর্ব এবং ধারাবাহিকভাবে আনসার-ভিডিপি একাডেমি, সফিপুর, গাজীপুরে চূড়ান্ত পর্বে এই প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।
* উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কোটা অনুযায়ী সদস্য/সদস্যা বাছাই করে জেলা কমান্ড্যান্ট-এর কার্যালয়ে তালিকা প্রেরণ করেন।
* আনসার আইন ১৯৯৫ এবং আনসার বাহিনী প্রবিধিমালা ১৯৯৬-এর আলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিম্নরুপ যোগ্যতা সম্পূন্ন হতে হয়ঃ
(ক) বয়স ১৮ হতে ৩০ বছর
(খ) শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যুনতম অষ্টম শ্রেনী পাশ। তবে এসএসসি বা তদূর্দ্ধ পাশদের প্রশিক্ষণ গ্রহণে আগ্রাধিকার দেয়া হয়।
(গ) উচ্চতাঃ
(অ) সর্বনিম্ন ১৬০ সেঃ মিঃ অর্থাৎ ৫ফুট-৪ ইÂ (পুরুষের ক্ষেত্রে)
(আ) সর্বনিম্ন ১৫০ সেঃ মিঃ অর্থাৎ ৫ফুট-০ ইÂ (মহিলার ক্ষেত্রে)
(ই) বুকের মাপ ৭৫ সেঃ মিঃ হতে ৮০ সেঃ মিঃ অর্থাৎ ৩০র্-৩২র্ (পুরুষের ক্ষেত্রে)
(ঈ) দৃষ্টি শক্তিঃ ৬/৬
* সধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং চারিত্রিক ও নাগরিকত্ব
সার্টিফিকেট দাখিল করতে হয়।
* প্রশিক্ষণকালীণ প্রশিক্ষণার্থীদের বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া, পোষাক-পরিচ্ছদ প্রদান করা হয়।
* এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য কোন সদস্যকে কোন অর্থ প্রদান করতে হয় না।
* এই প্রশিক্ষণ সাফল্যজনকভাবে সমাপ্তির পর দেশের বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী কেপিআই/গুরুত্বপূর্ণ গার্ড/সংস্থায় অঙ্গীভূত হয়ে
নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালন করে।
* প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সদস্য/সদস্যাগণ দুর্গাপূজা, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইত্যাদি দায়িত্ব পালনের জন্য স্বল্পকালীন সময়ের জন্য অঙ্গীভূত হয়ে থাকে।
২। গ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্প ভিত্তিক অস্ত্রবিহীন ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ (পুরুষ ও মহিলা)
ক. গ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্প ভিত্তিক ভিডিপি প্লাটুন পুনর্গঠন ও হালনাগাদকরণ।
খ. আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, স্থানীয় নেতুত্ব সৃষ্টি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি।
গ. সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষায় গণভিত্তিক প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী সৃষ্টি।
ঘ. নির্বাচনী দায়িত্ব পালন সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান এবয় নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে যোগ্য করে গড়ে তোলা।
প্রশিক্ষণের নিয়মাবলী নিম্নরুপঃ
* সংশ্লিষ্ট গ্রামের ৩২ জন পুরুষ এবং ৩২ জন মহিলা সমন্বয়ে গঠিত দুটি প্লাটুনকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
* গ্রামের সুবিধাজনক স্থানে ১০ (দশ) দিনের এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
* একটি গ্রামে একবার এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
* প্রশিক্ষণার্থীকে সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণী পাশ হতে হয়।
* প্রশিক্ষণার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে।
* দৈনিক ৯০/- টাকা হারে ১০ দিনে ৯০০ (নয়শত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়।
* প্রশিক্ষণ শেষে প্রাপ্ত ৯০০ (নয়শত) টাকা থেকে ১০০ (একশত) টাকা মূল্যের আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ০১ (এক) টি
শেয়ার ক্রয় করতে হয়।
* প্রশিক্ষণার্থীগণকে প্রশিক্ষণ শেষে সনদ পত্র প্রদান করা হয়।
* জেলা কমান্ড্যান্ট আর্থিক বছর শুরুর আগেই উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার সুপারিশ মোতাবেক গ্রাম নির্বাচনকরেন।
* এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামের ভিডিপি পুরুষ ও মহিলা প্লাটুনসমূহ পূর্নগঠিত হয়।
* প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সদস্য-সদস্যা ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর সরকারী চাকুরীতে নির্ধারিত ১০% কোটায় আবেদন করার সুযোগ পান।
৩। জেলা ভিত্তিক অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ (পুরুষ ও মহিলা)
খ. সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী গঠন।
গ. নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টি ও স্থানীয় আিইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পেশাগত দক্ষতা অর্জন।
ঘ. নির্বাচনী দায়িত্ব পালন সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান এবয় নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে যোগ্য করে গড়ে তোলা।
প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সদস্য-সদস্যা ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর সরকারী চাকুরীতে নির্ধারিত ১০% কোটায় আবেদন করার সুযোগ বিদ্যমান।
এছাড়া কারিগরি ও পেশা ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাহিনী যেসকল প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে তা নিম্নরুপঃ
১। বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ (ভিডিপি পুরুষ ও মহিলা)
ক. কম্পিউটার ব্যবহারে পারদর্শী করে তোলার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করা।
খ. কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে সক্ষমতা সৃষ্টি করা।
গ. ডিজিটালাইজড বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করা।
২। মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ (ভিডিপি পুরুষ/মহিলা)
ক. সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্যগণকে মোটর গাড়ী চালনায় পারদর্শী করে তোলা।
খ. প্রশিক্ষণ গ্রহনকারীগণকে মোটর গাড়ী রক্ষণাবেক্ষণে সক্ষম করে গড়ে তোলা।
গ. দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থান তৈরীর মাধ্যমে আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে সহায়তা করা।
৩। মোবাইল ফোনসেট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ (পুরুষ ও মহিলা)
ক. মৌলিক দক্ষতা সম্পন্ন পারদর্শী মোবাইল ফোন ম্যাকানিক তৈরী করা।
খ. মোবাইল ফোনসেট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে দক্ষ ও পারদর্শী করে গড়ে তোলা।
গ. কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম করা।
৪। সোয়েটার মেশিন অপারেটিং প্রশিক্ষণ (ভিডিপি পুরুষ)
ক. বিজিএমইএ-র সহায়তায় পরিচালিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সোয়েটার মেশিন অপারেটিং ফ্যাক্টরীতে চাকরি অর্জনের উপযোগী করে গড়ে
তোলা।
খ. তৈরা পোষাক শিল্পে কর্মসংস্থানের উপযোগী করে আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে সহায়তা করা
৫। ওভেন মেশিন অপারেটিং প্রশিক্ষণ (ভিডিপি মহিলা)
ক. বিজিএমইএ-র সহযোগিতায় পরিচালিত ওভেন মেশিন অপারেটিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে দক্ষ করে গড়ে তোলা।
খ. প্রশিক্ষণার্থীগণকে ইলেকট্রিক মেশিনে সেলাই কাজে দক্ষ করে তোলা।
গ. তৈরা পোষাক শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থিক উন্নয়নে সহায়তা করা
৬। সেলাই ও ফ্যাশন ডিজাইন (অতিরিক্ত নকশি কাঁথা তৈরী) প্রশিক্ষণ (ভিডিপি মহিলা)
ক. সেলাই মেশিনে সেলাই করা এবং ব্লক, বুটিক, বাটিক ও নকশি কাঁথা তৈরী কাজে দক্ষ করে গড়ে তোলা।
খ. প্রশিক্ষণার্থীগণ সেলাই ও নকশি কাঁথা তৈরী কাজে দক্ষতা অর্জনে সক্ষম করা এবং আত্মকর্মসংস্থানের জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা।
গ. তৈরা পোষাক শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষমকরা।
কারিগরি প্রশিক্ষণের নিয়মাবলী নিম্নরুপঃ
ক. আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি
করা।
খ. অর্জিত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম করা।
গ. গ. দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে আর্থিক উন্নয়নে সক্ষমতা সৃষ্টি করা।
যোগ্যতাঃ
ক. আনসার ও ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
খ. নূন্যতম ৮ম শ্রেণী। (টাইলস সেটিং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে নূন্যতম এসএসসি)।
গ. ১৮ হতে ৩৫ বছর বয়স।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস